আজ শুক্রবার, ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি ১ বার এসে খালেদাকে দেখে যান

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) এসে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির সাংসদ জি এম সিরাজ। তিনি বলেন, ‘আমি এবং আমরা যারা সাতজন সংসদ সদস্য রয়েছি, সাংবাদিকদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতার কাছে বলতে চাই, আপনি নিজে একবার আসুন। আপনি দেখে যান এই দেশের তিন-তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে। আমরা নিশ্চিত, আপনি যদি বেগম খালেদা জিয়াকে দেখেন, তাহলে আপনার মানবিক বোধ জাগ্রত হবে। আপনার মায়া হবে।’

বুধবার বিকেলে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিএনপিদলীয় সাংসদ জি এম সিরাজ, জাহিদুর রহমান, মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি খালেদা জিয়ার সঙ্গে সময় কাটান তাঁরা।

সাক্ষাৎ শেষে বের হয়ে জি এম সিরাজ সাংবাদিকদের বলেন, আজ ১৮ মাস হলো দেশনেত্রী একটা সাজানো মামলায় ফরমায়েশি রায়ে বন্দি। ম্যাডাম জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে ইতিমধ্যে নেতারা দেশবাসীকে জানিয়েছেন। অত্যন্ত অমানবিকভাবে আজকে ম্যাডামকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তাঁর শরীর অবশ হয়ে গেছে। হাত-পা চালাতে পারেন না। মাথার চুল নিজে আচড়াতে পারেন না। বাথরুমে নিজে যেতে পারেন না। সব কিছুতেই অন্যের সাহায্য নিয়ে করতে হয়।

সাংসদ জি এম সিরাজ বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি উনি (খালেদা জিয়া) রাজনৈতিক বন্দি। তাই উনার জামিনের জন্য রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দরকার। আপনি আমলাতান্ত্রিক পরামর্শ না নিয়ে রাজনৈতিক দূরদর্শিতায় আপনি ওনার জামিনের ব্যবস্থা করে দিন। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া ম্যাডামের মুক্তি হবে না। আমরা সংসদ সদস্য হিসেবে আপনি সংসদ নেতার কাছে আমাদের অনুরোধ আপনি খালেদার জিয়ার মুক্তির পদক্ষেপ নিন।’

মুক্তির বিষয়ে খালেদা জিয়া কী বলেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে জিএম সিরাজ বলেন, ‘ম্যাডাম, অবশ্যই মুক্তি চান। তিনি অপরাধ করেননি। তবু বন্দি আছেন। অবশ্যই মুক্তি চান। চিকিৎসার ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য তিনি বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চিকিৎসা পাচ্ছেন না। সেখানে বিদেশে চিকিৎসার কথা আসছে কেন? তিনি মুক্তির পরে সিদ্ধান্ত নেবেন দেশে নাকি বিদেশে চিকিৎসা নেবেন। আগে তো মুক্তি দরকার। তিনি তো সহসা বিদেশে চিকিৎসা নিতে চান না। এর আগেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নাম বলা হয়েছে। সেই নিজস্ব চিকিৎসকের চিকিৎসা নিতেও দেওয়া হয়নি। বিদেশে যদি যাওয়া লাগে যাবেন। সেটা ওনার নিজের সিদ্ধান্ত, পরিবারের সিদ্ধান্ত। সেটা তো আমরা বলতে পারি না।’

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ